হেগলিগ সঙ্কটের সমাধান হলেও সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে আবারো নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। উভয়পক্ষই নিজেদের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।
দক্ষিণ সুদান অভিযোগ করেছে, রোববার সুদানি বাহিনী তাদের সীমান্তের নয় কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণ সুদানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী প্রধান মেজর জেনারেল ম্যাক পল জানান, তাদের সীমান্তের অভ্যন্তরে তিনবার আলাদা আলাদাভাবে আক্রমন পরিচালনা করেছে সুদানি সেনাবাহিনী। এসময় আক্রমনকারীরা ট্যাংক ও কামান ব্যবহার করে বলে জানান তিনি।
তবে এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তাদের ভূখণ্ডেই দক্ষিণ সুদান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সুদান। সুদানি কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার দক্ষিণ সুদানের এসপিএলএম মিলিশিয়ারা সীমান্ত অতিক্রম করে সুদানের দক্ষিণ করদোফান প্রদেশে হামলা চালায়। তবে সুদানি বাহিনী পাল্টা হামলা চালিয়ে সীমান্তের ওপারে হটিয়ে দেয় বলে দাবি করে তারা।
সুদানের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে দক্ষিণ সুদান।
হেগলিগ দখল-পুনর্দখলকে কেন্দ্র করে উভয় দেশ দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় মূলত উভয় দেশের সীমান্তে অবস্থিত অমীমাংসিত ভূখন্ড নিয়ে। বৃহত্তর সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান আলাদা হয়ে গেলেও দুই দেশের সীমান্ত এখনও অমীমাংসিত।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুদান আকস্মিক ভাবে সুদানের নিয়ন্ত্রণে থাকা গুরুত্বপূর্ণ হেগলিগ দখল করে নিলে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। অবশ্য পরবর্তীতে সুদান গত শনিবার আবারও হেগলিগের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় ।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসতে এখনও কোন ধরনের আগ্রহ প্রকাশ করেনি উভয় পক্ষ। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে উভয় দেশের প্রতি ক্রমাগত আহবান জানিয়ে আসছে তারা।