ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক নীতিমালার আওতায় আগামী তিন বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগের এ ঘোষণা দেন বাংলালিংক এর মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জন ইভস সার্লিয়ান। এ সময় বাংলালিংকের সিইও এরিক অস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জন ইভস সার্লিয়ান বলেন, বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলালিংক এখন পর্যন্ত ২ দশিমকি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। জাতীয় তহবিলে বাংলালিংকের অবদান ২ দশমকি ৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে বিগত ১২ বছর ধরে বাংলালিংক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তনের একটি মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাস নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এটি বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, খসড়া ফোরজি ও স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে একটি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করার কাঠামো তৈরি হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যা উন্নত ডিজিটাল সার্ভিস ও গ্রাহক সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভিওন বাংলালিংককে দেশের শীর্ষস্থানীয় যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে ভিওন বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায়।
বাংলালিংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভিওন মনে করে টেলিযোগাযোগ খাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কর হার এবং স্পেকট্রামের উচ্চমূল্যের সম্মিলিত অর্থনৈতিক চাপ বিনিয়োগের অন্তরায়। এটি বিবেচনায় আনা উচিত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, করের চাপ ও প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের মূল্য বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ। এটি দেশব্যাপী থ্রিজি এবং ফোরজি চালুর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে প্রভাবিত করবে, যা উন্নত গ্রাহক সেবার অন্তরায়।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, ২০১৬ সালে আমরা প্রথমবারের মতো সামান্য কিছু মুনাফা করেছি। গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করছি। ভিওন নতুন করে বাংলাদেশে যে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছে তা বাংলালিংক গ্রাহকদের উন্নত সেবার ক্ষেত্রে ব্যয় হবে।