গ্যাস না থাকায় মিরপুর-আগারগাঁওয়ে দুর্ভোগ

গ্যাস না থাকায় মিরপুর-আগারগাঁওয়ে দুর্ভোগ

মেট্রোরেল প্রকল্পের লাইন নির্মাণের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ও আশপাশের এলাকাজুড়ে ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এর আগে বুধবার তিতাস গ্যাসের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, রাজধানীর মিরপুর ও আগারগাঁও এলাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের লাইন নির্মাণ কাজের জন্য গ্যাসের লাইন শিপমেন্ট করা হচ্ছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১০ ঘণ্টার জন্য গ্যাস সরবারহ বন্ধ রয়েছে।

গ্যাস সরবারহ বন্ধ থাকা এলাকাগুলো হচ্ছে- মিরপুর-১০ এর পূর্ব ও পশ্চিম পাশ, আগারগাঁও রোড, মনিপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, বড়বাগ, সেনপাড়া, আগারগাঁও, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত থেকে ভাষানটেক, উত্তর কাফরুল, তালতলা, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মিরপুর-১, মিরপুর-২, মিরপুর-৬, মিরপুর-৭, আহমদনগর, পাইকপাড়া, শিয়ালবাড়ি, রূপনগর, আরামবাগ, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা।

এদিকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। গার্মেন্টসহ গ্যাসনির্ভর অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদন মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। ১০ ঘণ্টার জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ বাসায় রান্না বন্ধ রয়েছে।

শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ঢাকার মিরপুর ও আশপাশের এলাকায় আজ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা অনেকেই জানেন না। সকাল থেকে বাসায় চুলা জ্বলেনি, যে কারণে রান্নাবান্নাও কিছুই হয়নি। পুরো এলাকায় গ্যাস না থাকায় খাবার কিনতে হোটেলে গিয়েও আরেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে হোটেলের খাবারও শেষ। এখন এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের দুপুরের খাবার অন্য কোনো এলাকা থেকে কিনে আনতে হবে।

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়েছেন আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা রেহেনা খাতুন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, বাসায় আত্মীয় এসেছে বুধবার। সকালে নাস্তা বানাতে গিয়ে দেখি গ্যাস নেই। পুরো এলাকায় গ্যাস না থাকায় হোটেলেগুলোতেও অনেক ভিড় ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সকালের খাবার কিনতে পেরেছি। কিন্তু গ্যাস না থাকায় আমার ছেলে দুপুরে এলাকার বিভিন্ন হোটেল ঘুরেও কোনো খাবার পায়নি। এখন আত্মীয়-স্বজনদের কী খাওয়াব বা আমরাই কী খাব?

এদিকে কাজীপাড়ায় অবস্থিত খাবার হোটেলের মালিক এরশাদ আলী জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ সকালে তার হোটেলে নাস্তা তিন গুণেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে দুপুরের খাবার রান্না করা হয়েছিল। পরিমাণে অল্প হওয়ায় দুপুরের আগেই তা শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে তিতাসের নর্থ জোন-মিরপুর এলাকার এক কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি কাজ শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্যাস সংযোগ আবার চালু হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ