মঙ্গলবার সোনারগাঁও হোটেলে মহেশখালি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ও এক্সসেলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইইবিএল) সাথে আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীরবিক্রম বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হবে। এ জন্য সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা বিধানের অন্যতম চ্যালেঞ্জ দক্ষ জনশক্তি। প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে এলপিজি ও এলএনজি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এলএনজি’র ব্যবহার বাংলাদেশে এখনও হয়নি। আশা করা যাচ্ছে ২০১৮ সালের প্রথম দিক থেকে এলএনজি’র ব্যবহার শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে ইইবিএল-এর পক্ষে চিফ ফিন্যান্স অফিসার এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিক বেডফোর্ট এবং আইএফসি-এর পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার উইন্ডি ওয়ার্নার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ প্রকল্পের মোট খরচ হবে ১৭৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার ইক্যুইটি ৫৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার এবং ঋণ ১২৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইএফসি ৩২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার ঋণের ব্যবস্থা করেছে।
কক্সবাজারের মহেশখালিতে ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের লক্ষ্যে গত ১৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও ইইবিএল-এর মধ্যে ইম্পিলিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) এবং পেট্রোবাংলা ও ইইবিএল-এর মধ্যে টার্মিনাল ব্যবহার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এপ্রিল ২০১৮ নাগাদ ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল কমিশনিং করা সম্ভব হবে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের এলএনজি ধারণক্ষমতা হবে ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার। ১৫ বছর মেয়াদি শেষে টার্মিনালটি কোন বিনিময় মূল্য ছাড়া পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনশুর মো. ফয়জুল্লাহ, আইএফসি’র প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টমেন্ট অফিসার কামাল দোরাবাইলা ও লাবোমীর ভারবানভ বক্তব্য রাখেন।