চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ একনেকে ৯ প্রকল্পের অনুমোদন

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ একনেকে ৯ প্রকল্পের অনুমোদন

চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৩৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৯০০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫৭ কোটি ৩ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৪৩০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম শহর এলাকা এবং এর দক্ষিণ অংশের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে। এতে যানজট হ্রাস পাবে এবং বিমানবন্দরে যাতায়াতের পথ সুগম হবে।
তিনি জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত।
মুস্তাফা কামাল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কেরানীগঞ্জ ও ঢাকায় বিচ্ছিন্নভাবে নানা জায়গায় প্রকল্প না করে সমন্বিতভাবে বিশ্ববিদালয়টির উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে জমি খুঁজে বের করতে বলেছেন তিনি।
সদ্য বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি ছিল বলে তিনি জানান।
একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-পাঁচদোনা-ডাঙ্গা- ঘোড়াশাল সড়ক উন্নয়ন ইসলামপুর খেয়াঘাট প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। জামালপুর জেলার তিনটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিয়ায়েবিলিটি এন্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। নরসিংদী জেলার অন্তর্ভূক্ত আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রক্ষপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী ও পুরাতন ব্রম্মপুত্র শাখা নদ পুনঃখনন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হযেছে ৫০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এছাড়া সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৪৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কৃষি শুমারি ২০১৮ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। খুলনার পাইকগাছা কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, দিনাজপুর ও রংপুর এর সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ২১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ