মাসে ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়া হলেও গ্রাম পুলিশরা তা নিয়মিত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ আলিম এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, মাস শেষে আমরা বেতন পাই মাত্র তিন হাজার টাকা। এ টাকাও নিয়মিত দেয়া হয় না। তিন মাস পর পর টাকা পাই। বেতনের এই টাকার অর্ধেক অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০ টাকা দেয় সরকার আর বাকি অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ।
আলিম আরও বলেন, ‘অথচ এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, রাত জেগে আমরা সেখানে দায়িত্ব পালন করি। আবার আসামি ধরে থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ আমাদের রিকশা ভাড়ার টাকাও দেয় না।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমানে কর্মরত গ্রাম পুলিশের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৮৭০ জন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে গ্রাম পুলিশরা যে বেতন পান তা দিয়ে জীবনজাপন করা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
গ্রাম পুলিশের বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এমএ আলিম বলেন, গত বছর সরকারি কর্মকর্তাদের পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন বাড়ানো হলেও গ্রাম পুলিশের কোনো সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি করছি।
এমএ আলিম বলেন, একজন সংসদ সদস্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে গ্রাম পুলিশের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ওই সংসদ সদস্য গ্রাম পুলিশের করুন অবস্থার কথা তুলে ধরে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান। কিন্তু অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন ২০২০ সালের আগে গ্রাম পুলিশের বেতন বাড়ানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও হতাশা ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু বাজেট পাস হলেও গ্রাম পুলিশের জন্য কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। এতে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
রাজধানীর তোপখানা রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব এমএ নাছেরসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।