পটুয়াখালী-১ আসন : জনপ্রিয়তার শীর্ষে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন

পটুয়াখালী-১ আসন : জনপ্রিয়তার শীর্ষে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও প্রায় দেড় বছর বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সৎ, বিনয়ী, পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন প্রার্থীদের তুলনামূলকভাবে জনপ্রিয়তা বেশি দেখা যাচ্ছে। এসব মানবিক-রাজনৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন প্রার্থীদের ঘিরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি গত নবম জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করে তা এখনও অব্যাহত রেখেছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে তাঁর শক্তিশালী সেতুবন্ধন গড়ে উঠেছে। তা ছাড়া পরপর তিনবার আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা এ নেতা এলাকায় সদালাপি, কর্মীবান্ধব ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত, যা তার জনপ্রিয়তাকে সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি করে চলেছে।
ইতোমধ্যে পটুয়াখালী-১ আসনের অন্তর্ভুক্ত পটুয়াখালী সদর, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রাম-গঞ্জে নিয়মিত গণসংযোগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। দলীয় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের একত্রিত করা, সাধারণ ভোটারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রচার করা এবং দলের পক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের এই নেতাকে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব প্রদান করেন। সে সময় তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুবার সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের রাজনীতির পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তার রাজনৈতিক কর্মকা- ও আওয়ামী লীগের আদর্শের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদনের পুরস্কার হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি পরপর তিনবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পটুয়াখালী-১ আসনের অসংখ্য নেতাকর্মী তথা ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী তাঁর হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গড়ে উঠেছে তাঁর বিশাল কর্মীবাহিনী। যাদের ভালোবাসা অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অন্যদিকে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের নীতি, আদর্শ ও দলের প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে আপসহীন অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ওয়ান-ইলেভেনের মাইনাস শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। দল ও বঙ্গবন্ধু-কন্যার প্রতি আপসহীন আনুগত্যের কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতির অত্যন্ত ¯েœহভাজন ব্যক্তি অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। এ কারণে পটুয়াখালী-১ আসনের দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করছে এবং তার মাঝে সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছেন।
পটুয়াখালী-১ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যগতভাবে এ অঞ্চলটিতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেশি। স্বৈরাচার শাসনামলেও দলের অত্যন্ত দুঃসময়ে এ এলাকার জনগণ আওয়ামী লীগকে উপহার দিয়েছে পটুয়াখালী সদর আসনটি। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের রাজনীতির কারণে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু দীর্ঘদিন এ এলাকাটিতে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সাংগঠনিক শক্তি অক্ষুণœ রাখতে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। সেই হিসাবে জনপ্রিয়তা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও স্বচ্ছ ইমেজের কারণে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পটুয়াখালীর সচেতনমহল মনে করে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন সৎ, পরীক্ষিত, ত্যাগী, কর্মীবান্ধব ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হওয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে আওয়ামী লীগ।

Featured বাংলাদেশ শীর্ষ খবর