হরতালের দুই দিনে নোয়াখালীতে পিকেটারেরা ১৬টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এসময় গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের ৩৮ নেতাকর্মী।
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার হরতাল ঘোষণার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হরতালে নাশকতা সৃষ্টি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চলায় পুলিশ।
রোববার ভোরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ ১৬জনকে গ্রেফতার করে। পিকেটিংয়ের সময় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার ভোরে একই অভিযোগে ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ৩৮জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে হরতালের প্রথমদিন বিভিন্ন স্থানে ১০টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের একটি ভ্যান, তিনটি পিকআপ, দুইটি মোটরসাইকেল, চারটি বাস বাস ভাংচুর করে পিকেটাররা।
অন্যদিকে হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার ভোর হতে না হতে ছয়টি গাড়ি ভাংচুর করে পিকেটাররা। দুইটি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিচালত অটোরিকশা একটি ট্রাক ভাংচুরের শিকার হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান জানান, ‘দুইদিনে তাদের ৩১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ হাযারী জানান, হরতালে নাশকতা সৃষ্টিসহ গোলোযোগের আশঙ্কায় এদের আটক করা হয়েছে। এদের অনেকের নামে মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।