প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী আজ বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বিষয়ে ইউনেস্কোর আপত্তি প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ১২টি দেশ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি এর আগেই এ বিষয়ে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাটিকে সাফল্যের সাথে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা।
গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তুরস্ক ও ফিনল্যান্ডসহ ১২টি দেশ বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছে, যা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কিত অভিযোগ প্রত্যাহার করতে অনুপ্রাণিত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, তুরস্ক এ সপ্তাহের প্রথমদিকে পোল্যান্ডের ক্রাকোতে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম অধিবেশনে বাংলাদেশের এ বিষয়টি তুলে ধরে। সেখানে ওই দেশগুলো বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্বপক্ষে অবস্থান নেয়।
বাংলাদেশ ওই অধিবেশনে পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেয়।
ড. তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, ‘ইউনেস্কোর আপত্তি প্রত্যাহারের মাধ্যমে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিতর্কের অবসান ঘটেছে।’
ইউনেস্কো কমিটি প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে সুন্দরবনসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ‘কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা’ (এসইএ) পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এতে সম্মত হয়েছি।’
তিনি জানান, ইতিপূর্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপারে ইউনেস্কোকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পরিবেশবিষয়ক সম্মাননাÑ চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ-সহ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি প্রকল্পটি চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর আস্থা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কায়ুস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে সুন্দরবনের মর্যাদা নিয়ে নয়, বরং সার্বিক সংরক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে, তা ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু আমরা করবো না।’