এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্মদিন পালন করবেন না। দলের নেতারা বিশাল আয়োজন ও ঘটা করে জন্মদিন পালনের প্রস্তাব দিলেও তিনি সরাসরি সে প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি নেতাদের বলেছেন, এসবের প্রয়োজন নেই। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন।
শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে কয়েকজন নেতা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন পালনের প্রস্তাব দেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সভায় ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাহাত্তরের গণপরিষদ যে সংবিধান প্রণয়ন করেছে, সেই সংবিধানের ধারা আমরা ফেরত আনতে চাই। সেটা কীভাবে আদালত অসাংবিধানিক বলেন?’ তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত মার্শাল ল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। তাহলে মিলিটারি ডিক্টেটরের (সামরিক একনায়ক) করা আইন কীভাবে সাংবিধানিক হয়?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনজীবী ও সুশীল সমাজের একটি চক্র এটা নিয়ে পানি ঘোলা করতে চায়। একটি শূন্যতা তৈরি করতে চায় বলেই তারা এই ইস্যুটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগকে নিয়ে রাজনীতি করিনি। জিয়া, খালেদা ও এরশাদ সবাই রাজনীতি করেছেন। বিচারপতিদের বয়স কমানো-বাড়ানোর কাজ তারাই করেছেন।’
ষোড়শ সংশোধনী প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আদালত অ্যামিকাস কিউরির মতামত নিয়েছেন। তারা তো হাইকোর্টে রায় দেয়ার সময় সংবিধানের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আপিলের রায়ের আগে তাদের মতামত আবার পরিবর্তন কীভাবে করলেন? অ্যামিকাস কিউরির কোনো কোনো আইনজীবী নিজেদের সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন। তারা সংবিধানের বাইরে যান কীভাবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে সংসদ। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের ব্যাপারে এই সংসদই সিদ্ধান্ত নেবে।’ এ বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে দলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে সংসদের বাইরে কথা বললে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতে পারে।’
এছাড়া চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ভোটার হালনাগাদকরণ শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সমর্থন করে এমন একজন ভোটার যেন বাদ না পড়ে সে নিদের্শও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।