পরিবহন কাউন্টার ভাঙচুর ও চার শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে যশোরের বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করায় বন্ধ হয়ে গেছে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমও। ধর্মঘটের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। শুক্রবার বিকেলে ওই হামলার ঘটনার পর শনিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেনাপোল বন্দরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বেনাপোল পরিবহন স্ট্যান্ডে পৌঁছালে গ্রিনলাইন পরিবহনের এক শ্রমিকের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই পরিবহনের চার শ্রমিক মারধরের শিকার হন। পরে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
এর জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা শনিবার সকাল থেকে ধর্মঘটের ডাক দেন। হামলার ঘটনায় সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও পথসভা করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তারা ঢাকা-কলকাতা মহাসড়কের ওপর বেনাপোল বাজারে পরিবহন আড় করে দিয়ে যানবাহন চলাচল ও আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেন।
ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
ভারত ফেরত যাত্রীরা জানান, হঠাৎ করে এই ধর্মঘটে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
বেনাপোল গ্রিনলাইন পরিবহনের ম্যানেজার রবীন কুমার জানান, বেনাপোলের সকল পরিবহন ম্যানেজার ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, হামলার ঘটনায় থানায় এখনও কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে ধর্মঘট প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।