দরিদ্র রোগীরা স্বল্পমূল্যে কিডনি ডায়ালাইসিসের সুবিধা পাচ্ছে

দরিদ্র রোগীরা স্বল্পমূল্যে কিডনি ডায়ালাইসিসের সুবিধা পাচ্ছে

জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনিস্টিটিউট দেশের দরিদ্র রোগিদেরকে স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের একটি সূত্র এ খবর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম হাবিবুর রহমান খান বাসস’কে জানান, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সুন্দর মেডিকেইড এর সাথে পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশীপের ভিত্তিতে এই স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হবে।
ভারতের হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক সুন্দর মেডিকেইড উচ্চ প্রযুক্তির বাইয়োমেডিকেল এবং বাইয়োটেকনোলজি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। অতিরিক্ত সচিব খান বলেন, পিপিপির অধীনে কোম্পানিটি ইতোমধ্যেই নিকডুতে ১৫ টি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০টি ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করেছে। দরিদ্র রোগীরা এ দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বল্পমূল্যে কিডনি ডায়ালাইসিস করাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা নিকডুতে আরো ৪৫ টি মেশিন স্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি বলেন, সুন্দর মেডিকেইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সকল মেশিন স্থাপনের জন্য খুব শিগগির ঢাকা সফরে আসবেন। এ মেশিনগুলো ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, পিপিপি’র অধীনে অধিক সংখ্যক দরিদ্র রোগি স্বল্প মূল্যে সর্বাধুনিক ডায়ালাইসিস চিকিৎসা সুবিধা পাবে।
খান আরো বলেন, বেসরকারি একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে যেখানে ডায়ালাইসিস করাতে প্রায় ৩ হাজার টাকা লাগে, সে ক্ষেত্রে দরিদ্র রোগিরা এখন মাত্র ৪০০ টাকায় আরো ভাল ডায়ালাইসিস করাতে পারবে। তিনি বলেন, নিকডুতে ডায়ালাইসিস করাতে প্রকৃত খরচ হয় ২,১৯০ টাকা। সরকার দরিদ্র লোকদের জন্য প্রতি ডায়ালাইসিসে ১,৭৯০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
খান বলেন, সরকার জেলা পর্যায়ে পিপিপির অধিনে স্বাস্থ্য সেবা আরো বাড়াবে। এতে গ্রামের লোকেরা রাজধানীতে না এসেই আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
নিকডু’র পরিচালক অধ্যাপক নুরুল হুদা লেলিন বলেন, দেশে ভেজাল খাদ্য খেয়ে এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাত্রাসহ বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস ও হাই প্রেসারের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ি দেশে প্রায় এক কোটির অধিক সংখ্যক লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ১.৬০ লাখ রোগীর অবস্থা খুবই নাজুক। এ সকল রোগীকে প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, একজন কিডনি রোগী নিয়মিত ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে ৫ থেকে ১৫ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। ডায়ালাইসিস হচ্ছে রক্ত থেকে অনাকঙ্খিত পানি নি:স্বরনের একটি কৃত্রিম প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর