বিশ্বব্যাংক নারীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দারিদ্র্য বিরোধী সফল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় পরিচালনাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে (এসডিএফ) পুরস্কৃত করেছে।
শুক্রবার এখানে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের এক মুখপাত্র বাসসকে বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীন অলাভজনক কোম্পানীটির নতুন জীবন লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট গত সপ্তাহে ব্যাংকের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ভাইস-প্রেসিডেন্ট এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বাসস’কে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার বিশেষ করে বাংলাদেশের দরিদ্র এবং দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নারীদের সহায়তায় উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এসডিএফ-কে এই এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি সুবিধাভোগী চরম দরিদ্র প্রায় ৬ লাখ ৫৯ হাজার পরিবারের মধ্যে ৯৪ শতাংশ পরিবারকে দারিদ্র্যের চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্সি এওয়ার্ড লাভ করায় আমরা গর্বিত।’
চিমিয়াও বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে দারিদ্র্য হ্রাসে ‘অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে এখনও গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র বিস্তৃত রয়েছে সেখানে নতুন জীবন অতিদরিদ্র গ্রামীণ পরিবারগুলোকে ক্ষমতায়নে এবং সংগঠিত করে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে কাজ করছে।
তিনি প্রকল্পের বিশেষ করে ২১টি জেলায় দুর্যোগ প্রবণ পশ্চাৎপদ এলাকার দরিদ্র পরিবার বিশেষত নারীদের জন্য অর্থ প্রাপ্তি, বাজারে প্রবেশ ও সেবা গ্রহণে সক্ষম করেছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি প্রধান এসডিএফ’র ‘উদ্ভাবনী প্রকল্প নকশার’ ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই প্রকল্প নকশায় কর্ম এলাকায় কমিউনিটি অর্গানাইজেশনগুলোকে ইন্টারনেট সংযোগ ও ল্যাপটপ সজ্জিত করে তথ্য ব্যবস্থাপনা সেবা গ্রহণের সক্ষম করে তোলা হয়েছে। দরিদ্রদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনে ভালো পুষ্টি গ্রহণে গড়ে তোলার সহায়তা দেয়া হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় টার্গেট গ্রুপ গঠন করে অফেরতযোগ্য আয়বর্ধক মঞ্জুরি সরবরাহের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য জাতীয় কার্যক্রমের সম্পূরক হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্বশাসিত ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এসডিএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এসডিএফ চেয়ারম্যান সাবেক সচিব এমআই চৌধুরী বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্বব্যাংকের এই পুরস্কার প্রাপ্তি নারীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দারিদ্র্য বিরোধী মিশন এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের আরো উৎসাহিত করবে।