প্রয়োজনে উ. কোরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ : যুক্তরাষ্ট্র

প্রয়োজনে উ. কোরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ : যুক্তরাষ্ট্র

পিয়ংইয়ংয়ের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি বলেছেন, বাধ্য হলে আমরা উত্তর কোরিয়ায় উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবো।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আনা হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘ভয়াবহ সামরিক উসকানি’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠিন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন।

মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বুধবার কথা বলার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে পিয়ংইয়ং বলছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের নীতি প্রত্যাহার করা না হলে কোনো আলোচনা করা হবে না।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের নির্দেশে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ৯টা ৪০মিনিটে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হওয়াসং-১৪’র সফল পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। মাত্র ৩৯ মিনিটে ৯৩৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জলসীমায় গিয়ে পড়ে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র।

ক্ষেপণাস্ত্রটি ২ হাজার ৮০২ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে। অতীতে উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্ষেপণাস্ত্রই এত উচ্চতায় উঠেনি। ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার পর মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া জানায়, বিশ্বের যে কোনো স্থানে আঘাত হানার মতো যথেষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা রয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের।

উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। কোরীয় দ্বীপে তীব্র উত্তেজনার মাঝে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে সিউল ও ওয়াশিংটন।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টিমোমি ইনাদা বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা’।

আন্তর্জাতিক