ঢাকা ০৪ জুলাই মঙ্গলবার ২০১৭ :
জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমার মনে হয় দেশটা অভিশপ্ত। সিলেটের প্লাবনে লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও সিলেটে পাহাড় ধসে মাটি চাঁপায় সেনা সদস্য ও সাধারণ মানুষ সহ বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে ৯ জন, অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে শুধু মৃত্যুর খবর আর লাশের খবর। সু-সংবাদ শোনা যাচ্ছে না কোথাও। দেশকে এ অভিশাপ হতে পরির্তন করা দরকার। পরিবর্তন একমাত্র জাতীয় পার্টিই করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় গুলশান-১ ইমানুয়েলস্ কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তর এর আয়োজিত ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, নির্বাচনের ব্যাক বেঞ্চের আমরা জাতীয় পার্টি নই। জাতীয় পার্টির এখন প্রথম বেঞ্চের। ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা আমাদেরই আছে। সম্মিলিত জাতীয় জোট করেছি, আমাদের শক্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে এরশাদ বলেন, মানুষের মনে অনেক হতাশা, আতঙ্ক আছে। এটা দূর করতে পারে একমাত্র জাতীয় পার্টি। আল্লাহ আমাদের সুযোগ দিয়েছে। সর্বাত্মক চেষ্টা কর। পরিশ্রম ও চেষ্টায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ০৮ জুলাই ২০১৭ শনিবার সকাল ১০ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রতিনিধি সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা শহর থেকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অবহেলার পাত্র নই। হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বিধা-দন্দ ভুলে গিয়ে মনের আনন্দে সম্মেলনে আসতে হবে এবং সম্মেলনকে সফল করতে হবে।
পল্লীবন্ধু বলেন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম, রক্তাক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই নাই। জেলে নিয়ে ছিল, আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, এখনো বেঁচে আছি আল্লাহর অশেষ রহমতে, তোমাদের ও দেশের মানুষের দোয়ায়। পরিবর্তন একমাত্র আমরাই পারবো। আমাদের উন্নয়নের বলার অনেক কিছু আছে। আমাদের সৎ সাহস আছে। আমি যখন তোমাদের মূখ দেখি তখন সকল দুঃখ ভুলে যাই।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহাঃ উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী এর সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা মহাঃ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম সেন্টু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মেজর খালেদ আখতার (অব.) উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আ.ন.ম শাহজাহান, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন বাবুল, সরদার শাহজাহান, আমানত হোসেন আমানত, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক ভুইয়া, মোস্তাকুর রহমান নাঈম, ফকরুল আহসান শাহজাদাসহ প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল হোসেন, আনিছুর রহমান খোকন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, একেএম আসরাফুজ্জামান খান, হেলাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিরু, আব্দুস সাত্তার, মামুনুর রহমান, মোহাম্মদ আলী খান, আবুল খায়ের, আহমেদ রিয়াজ, আসমা সুলাতানা, মন্টি চৌধুরী, জাকির হোসেন মৃধা, সিরাজুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম মিন্টু সহ প্রমূখ।