কাতারকে বর্জনের ব্যাখ্যা দিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। সৌদি নেতৃত্বাধীন এ তিন দেশের রাষ্ট্রদূতরা কানাডায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারকে একঘরে রাখার কারণ তুলে ধরেছেন।
কানাডায় নিযুক্ত সৌদি দূতাবাসে ওই তিনদেশের রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা কাতারকে বর্জনে কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাইফ আল সিহি, সৌদি রাষ্ট্রদূত নাইফ বিন বন্দির আলসুদাইরি ও মিসরের রাষ্ট্রদূত মোয়াতাজ জাহরান ব্যাখ্যা করে বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা না করার জন্য তারা বছরের পর বছর ধরে কাতারকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এছাড়া অভ্যন্তরীন দ্বিপাক্ষিক ও সামগ্রিক যেসব চুক্তি হয়েছে তা লঙ্ঘন না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
গত সপ্তাহে এক যৌথ বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূতরা সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ ও চরমপন্থী মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইসহ মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যম ব্যবহারের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে।
ওই বিবৃতিতে গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, তাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ সংগঠন, দল বা উপাদানকে সমর্থন যে চুক্তি ও বাধ্যবাধকতা অাছে তা অব্যাহত লঙ্ঘন করে আসছে কাতার।
গত ৫ জুন সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো উপসাগরীয় প্রতিবেশি কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এর জেরে গত দশকের মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয় উপসাগরীয় অঞ্চলে। কাতারে বিরুদ্ধে চরমপন্থা সমর্থন ও সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ঘণিষ্ঠতার অভিযোগ আনা হয়। তবে কাতার এ অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে।
এদিকে, সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো ১৩ দফা শর্ত দিয়েছে কাতারকে। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগসহ ওই ১৩ শর্তের জবাবের জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। রোববার সেই সময় শেষ হওয়ার পর কাতারের অবস্থান জানাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সম্পর্কচ্ছেদকারী দেশগুলো দোহাকে আরও ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় দেয়।
পরে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি কুয়েতে সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে ১৩ শর্তের জবাব হস্তান্তর করেন। কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন ৪টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কুয়েত। বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যথাসময়েই জবাব পাবে কাতার।