একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা কমান্ডার শহীদুল হক মামার প্রতি সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
এর আগে মরদেহ আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে তাকে প্রথমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মৌসুমী মাহবুব।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদুল হকের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হয়। সেখানে তার জানাজা হয়। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ জন্মস্থান রূপনগরে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক মামা গত ৩০ জুন কাতারের রাজধানী দোহার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সুইডেন প্রবাসী শহীদুল হক মামা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও একাত্তরের মামা গেরিলা বাহিনীর কমান্ডার শহীদুল হক মামার মরদেহ আজ সকালে কাতারের দোহা থেকে বাংলাদেশে আনা হয়।
গত ২৮ এপ্রিল শহিদুল হক মামা ঢাকা থেকে সুইডেন যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কাতারের ওয়াকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।