বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতালে রাজধানী ঢাকা আগের দিনের চেয়ে সচল হয়ে উঠছে। এদিন রাস্তায় গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। খুলেছে বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান। সকালে রাস্তায় দু’ধারে পায়ে হেটে গন্তব্যে রওয়ানা দেওয়া শ্রমিকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
বিএনপির ডাকা টানা দ্বিতীয় দিনের হরতালের শুরুতে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ দু’একটি ছোট খাটো ঘটনা ছাড়া কোথাও বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম দিনে রাজধানীতে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা কম দেখা গেলেও আজকে সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। সেই সঙ্গে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস রাস্তায় চলতে দেখা গেছে। যা আগের দিনে ছিল অনেকটাই অনুপস্থিত।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই পায়ে হেটে রওয়ানা দিয়েছে শ্রমিকরা নিজ নিজ কারখানার উদ্দেশে। তাদের পায়ে হাটার মিছিল দেখে দেখে মনে হচ্ছে যেন কোন মৌন মিছিলো যোগ দিয়েছে তারা। কারো মুখে কোন কথা নেই, ছুটছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে।
মহাখালী শেফাল গার্মেন্টের শ্রমিক শিউলী বেগম জানান, রবিবার তাদের গার্মেন্টে ছিল নির্ধারিত ছুটি। আজকে তাদের গার্মেন্টে কাজ হবে বলে তিনি সকালে পায়ে হেটে রওয়ানা হয়েছেন।
হরতাল সম্পর্কে আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের এসব ভেবে লাভ কি। আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন কেউ করবে না। যারাই ক্ষমতায় যায় তাদের লোকের ভাগ্যের পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কি, আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাতে আমাদের কি লাভ বা ক্ষতি? আমাদের একদিন না খাটলে পেটে ভাত জোটে না। এর চেয়ে আর বেশি কিছু ভাবতে পারি না।
উল্লেখ্য, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন লাগানোসহ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে রোববার বিএনপির ডাকা হরতাল পালিত হয়েছে। সিলেটে সারাদিন হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বনাথ ছিল বিস্ফোরণোন্মুখ। একই দাবিতে আজ সোমবারও হরতাল পালন করছে দলটি।