বাণিজ্য অবরোধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া পর্যন্ত আরব দেশগুলোর সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। সোমবার রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কেবল অবরোধ উঠিয়ে নিলেই আলোচনা হতে পারে। খবর আল জাজিরার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার অবরুদ্ধ আছে। এ অবস্থায় কোনো রকম আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে দেশগুলোকে আগে অবরোধ তুলে নিতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখছি না। আলোচনা শুরুর আগে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ বলেছেন, কাতার যতক্ষণ পর্যন্ত তার পররাষ্ট্রনীতি না পাল্টাবে ততক্ষণ পর্যন্ত দোহার ওপর অবরোধ বহাল থাকবে।
থানি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ যেসব দেশ দুই সপ্তাহ আগে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো দাবির কথা জানতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে কাতার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অপ্রাসঙ্গিক কোনো বিষয় সমঝোতার আওতায় আসবে না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। আল জাজিরা কাতারের আর পররাষ্ট্রনীতিও কাতারের। আমাদের ব্যাপার নিয়ে কারও সঙ্গে তো সমঝোতা করার কিছু নেই।
মুসলিম ব্রাদারহুড, আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষার অভিযোগে গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে র্কটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত নয়টি দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।