সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির সামর্থ্য নিয়ে দাতা সংস্থাগুলোর প্রশ্ন

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির সামর্থ্য নিয়ে দাতা সংস্থাগুলোর প্রশ্ন

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে দাতা সংস্থাগুলো। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দাতা সংস্থাদের সঙ্গে ইসির বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা এ কথা বলেন।

বৈঠকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান সিইসি।

এর আগে, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়াটকিসনের নেতৃত্বে প্রায় ১৮টি দেশের প্রতিনিধিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।

অতীতে অনেক ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সবার অংশগ্রহণ হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব।

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের বিষয় না। এটা সরকারের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, তা দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

সিইসি বলেন, আমাদের আইন-কানুন সংশোধন, সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ সামনে কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের কাজগুলো আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আমাদের আছে কি না, বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে আমরা বলেছি, আমাদের হাতে অনেকগুলো আইন আছে। অতীতে অনেক ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে আমাদের। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব।

কেএম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা কারিগরি সহযোগিতা চাই। এছাড়া নির্বাচনের আগে ভোটার, প্রার্থী ও ইসিসহ কার কী দায়িত্ব তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এ ক্ষেত্রে তারা প্রচারণা উপকরণ প্রস্তুতে সহায়তা করবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি, এ নিয়ে ইসির কিছুই করার নেই। এটি সরকারের সিদ্ধান্ত।

ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়াটকিসন বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের ২১ বছরের সম্পর্ক। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে চাই।

দাতা সংস্থাগুলোর বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফ্রান্স, ইইউ, জার্মানি, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, তুর্কি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মার্টকার্ড বিতরণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ দেয়ার মেশিন কিনতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। এগুলো ছাড়াই স্মার্টকার্ড দেয়া সম্ভব। কিন্তু আমরা প্রকল্পটি আরও বাড়াতে চাই। যদিও নির্বাচনের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। সংসদ নির্বাচনের আগেই সবার হাতে আমরা স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চাই।

বাংলাদেশ