গ্রামীণের প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখতে গঠন হচ্ছে কমিশন : অর্থমন্ত্রী

গ্রামীণের প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখতে গঠন হচ্ছে কমিশন : অর্থমন্ত্রী

“গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে” বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রোববার সচিবালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-এর সঙ্গে প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৫৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৪/৫টি গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদিত। বাকীগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।

এগুলো শুধু ড. ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। এরা দেশের গ্রামাঞ্চলে বা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করছে না। এরা কাজ করছে দেশের বাইরে।

তিনি জানান, গ্রামীণ ব্যাংক অনুমোদিত ওই ৪/৫টি ছাড়া বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গক্রমে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমি নিজেও গ্রামীণ ব্যাংকের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে।

প্রসঙ্গ: ডেসটিনি

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলোও আইনের সুযোগ নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের নিয়ন্ত্রণেও আইন করতে হবে।

ইতোপূর্বে অবৈধ ব্যাংকিং-এর অভিযোগে যেসব প্রতিষ্ঠানের (ইউনিপে, যুবক)  কাজ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ আটকে থাকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কিছু করার নেই। তবে দ্রুত অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।

অর্থ বাণিজ্য