বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৬৬.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মো. আবদুল্লাহর (লক্ষ্মীপুর-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে শ্রীলংকায় পাঠানো ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক (এফআরবি, এনওয়াই) যু্ক্তরাষ্ট্রে ফেরত দেয়। অন্যদিকে ফিলিপাইনে পাঠানো বাকি ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া রিজার্ভের ৬৬.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া যায়নি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ফিলিপাইনে পাঠানো টাকার অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, অর্থমন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ সকল সংস্থা একযোগে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় চুরি যাওয়া সমুদয় অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় দলিল সরবরাহ সাপেক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় হতে ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের বরাবরে পালের্মো কনভেনশনের আওতায় মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, এ চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হযেছে এবং চুরির অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে ফিলিপাইনের আইনি উদ্যোগ চলমান রয়েছে।