রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হরতালের দিন অলস সময় কাটাচ্ছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকালের ক্লান্তি শেষে বিশ্রাম নিচ্ছেন। যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান নামাজ পড়ছেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারপাশে পুলিশি প্রহরা। নেতাদের কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিকেল চারটা বা পাঁচটার দিকে আমরা সংবাদ ব্রিফিং করব। আপনারা দুপুরের খাওয়া শেষে আসবেন।’
এদিকে, সংগঠনটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল আরও কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে বসে আছেন। তারা সরকারের সমালোচনা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ তার কার্যালয়ে বসে রয়েছেন।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সামনে এসে বললেন, ‘আপনারা নিরাপদে থাকুন। আমরা আপনাদের নিয়েও চিন্তা করি। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিশ্বাসী।’ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণের পর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি হেসে ওঠেন।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা খেয়ে আসেন। বিকেলে চারটা-পাঁচটার দিকে ব্রিফিং করব।’
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের চেয়ে সংবাদ কর্মীদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। এখানে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সাংবাদিকরা ভিড় করছেন।
বেলা দুইটার পর আমান উল্লাহ আমান কার্যালয়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। কিন্তু সরকার এতে বাধা দিচ্ছে। সরকারই সংঘর্ষ উস্কে দিচ্ছে।’ এসময় তার পাশে কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটক প্রায় করে দিয়েছে। কাউকে যাতায়াত দেওয়া হচ্ছে না। দুপুরের দিকে আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে যাতে সাংবাদিকরা যাতায়াত করতে পারে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদে তার সন্ধান চেয়ে রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বিএনপি।