ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই আলদা উত্তেজনা। আর এ ম্যাচ যদি হয় ফাইনাল তাহলে তো কথাই নেই। প্রায় এক দশক পর কোনো আইসিসি ইভেন্টে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে মুখোমুখি ভারত এবং পাকিস্তান। আর ঐতিহাসিক এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়।
আইসিসি ট্রফিতে ভারত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। চার বছর আগে এই ইংল্যান্ড থেকেই তারা শিরোপা জিতে নিয়ে গিয়েছিল। সেবার অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এবার বিরাট কোহলি। কিন্তু মন-মানসিকতা, আগ্রাসী মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি ভারতীয় দলটির। বরং, ব্যাট হাতে ভারতের এক একজন যেন এক একটি দল। একাই একশো। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষের বোলিংয়ে ধ্বস নামানোর সব ধরনের রসদই মজুত রয়েছে ভারতীয় দলে। যুবরাজ, ধোনি, পান্ডিয়া, কেদার যাদব থেকে শুরু করে জসপ্রিত বুমরাহ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেন।
ফাইনালে এবার যে পাকিস্তানের মুখোমুখি ভারত, সেই পাকিস্তানকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেই একবার বিধ্বস্ত করেছে তারা। তার ওপর আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের যে রেকর্ড, তাতে চোখ বন্ধ করে যে কেউ বিরাট কোহলিদের পক্ষে বাজি ধরতে পারেন। আইসিসি ইভেন্টে ১৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। বিশ্বকাপে ৬ বার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ বার পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২বার জিতেছে পাকিস্তান। ২বার জিতেছে ভারত।
কিন্তু পাকিস্তান যে পুরোপুরি আনপ্রেডিক্টেবল। গ্রুপ পর্বে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হোঁচট খাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো এবং সেখান থেকে ফাইনালে উঠে আসা, কে বাতিলের খাতায় রাখতে সাহস পাবে পাকিস্তানকে! দলটির বোলাররা যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, তাতে করে ভারতীয় ব্যাটিংকে তারাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার তো তার বোলারদের ওপর আস্থা রেখে জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় ব্যাটিংকে থামানোর কৌশল জানা হয়ে গেছে তার।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটকিপার), কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, জাস্প্রিত বুমরাহ।
পাকিস্তান একাদশ
আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শাদাব খান, হাসান আলি, জুনাইদ খান।