হাজী সেলিম ঢাকার মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনি তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ও এলাকায় গণসংযোগ করছেন।
ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে দেয়ালে এরই মধ্যে জনগণের দোয়া কামনা করা হাজী সেলিমের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেটও।
হাজী সেলিম জানিয়েছেন, মেয়র নির্বাচিত হলে বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীকে সন্ত্রাস, যানজট, দূষণ ও মশামুক্ত করে সাধারণ মানুষের বাসযোগ্য করে তুলবেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাকে নিরাপদ, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঢাকার আদি বাসিন্দা এ নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, ঢাকার বর্তমান মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পদত্যাগের পর দ্রুতই ঢাকা সিটির দু’টি মেয়র পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সে হিসেবে হাজী সেলিম ঢাকার দক্ষিণ অংশের মেয়র পদে আওয়ামীগের সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমের পৈতৃক বাড়ি পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায়। ১৯৯১ইং সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দু’টি ওয়ার্ড(৬৫ ও ৬৬) থেকে কমিশনার পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। পরে ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাংসদ নির্বাচিত হন।
এদিকে, ঢাকার দক্ষিণ অংশের বিভিন্ন এলাকায় হাজী সেলিমের নামে ব্যাপক পোস্টারিংও করা হচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘন ঘন মিটিং আর পরামর্শ সভাও করছেন সেলিম। এলাকার মুরুব্বিয়ান আর গণ্যমান্য প্রভাবশালীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দোয়াও নিচ্ছেন।
মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে হাজী সেলিম তার বর্তমান কর্মকাণ্ড ও জনসংযোগ সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা, আন্তরিক সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশা করছি।’
জনপ্রতিনিধি থাকাকালে লালবাগ, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সন্ত্রাস দমন, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, যানযট নিরসন, গরীব জনসাধারণকে আর্থিক সাহায্য ও বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান এবং বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন আমি বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীকে সন্ত্রাস, যানজট, দুষণ ও মশামুক্ত করে সাধারণ মানুষের বাসযোগ্য নিরাপদ, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি, দলমত নির্বিশেষে সবাই বৃহত্তর ঢাকার উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করবেন।’