লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সবার মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর বিবিসির।
কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এর আগে ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। নিখোঁজদের মধ্যে আর কেউ বেঁচে নেই বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ড কান্ডি বলেছেন, এই সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে। পুড়ে যাওয়া ফ্ল্যাট ও ব্লকগুলোতে পুনরুদ্ধার অভিযান আবারো শুরু হয়েছে এবং এতে অন্তত সপ্তাহ খানেক লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যাটি ৭০ হতে পারে। বুধবার ভোরে বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগার পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরকে যে সহায়তা দেয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত ছিল না বলে স্বীকার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
অগ্নিকাণ্ডে সহায়সম্বলহীন ও গৃহহারা হয়ে পড়া মানুষজন এবং স্বেচ্ছাসেবীরা ডাউনিং স্ট্রিট-এ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই একটি বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেদের অপর্যাপ্ত সহায়তার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে, পুলিশ বলছে পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন সেই সংখ্যাটি স্পষ্ট নয়।
কিন্তু সব মিলিয়ে মোট ৫৮ জন ছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ। পরে ওই ৫৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।