যৌন কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলীয় স্পিকার

যৌন কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলীয় স্পিকার

যৌন কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে নিজের পদ থেকে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলীয় পার্লামেন্টের স্পিকার পিটার স্লিপার। তার বিরুদ্ধে এক পুরুষ সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এমনিতেই টালমাটাল অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় নতুন করে সঙ্কটে পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

শনিবার অস্ট্রেলিয়ার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, স্পিকার পিটার স্লিপার পার্লামেন্টের সাবেক স্টাফ জেমস অ্যাশবিকে যৌন হয়রানি করেছেন। এর পাশাপাশি ৬২ বছর বয়সী স্লিপার সরকারি ট্যাক্সি সার্ভিসেরও অপব্যবহার করেছেন বলে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

এবিসি সানডে পত্রিকা জানিয়েছে, স্লিপারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী স্বীকৃত পুরুষ সমকামী অ্যাশবি। স্পিকারের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে অনৈতিক বার্তা প্রেরণ, আগ্রাসী যৌন আচরণ এবং অশ্লীল ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।

এদিকে দেশে বাড়তে থাকা সমালোচনার মুখে যুক্তরাষ্ট্র সফরত স্লিপার রোববার অস্ট্রেলিয়া ফেরত আসেন। এ ব্যাপারে কোন মৌখিক মন্তব্য না করলেও টুইটারে তিনি  সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। অভিযোগের আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পিকারের পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য তার প্রতি আহবান জানিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী রক্ষণশীল দল। স্লিপারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো এখন তদন্ত করছে পুলিশ।

তবে পদত্যাগ করলেও সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি চলমান পুলিশি তদন্তকেই উল্ল্যেখ করেছেন।

স্লিপার অব্যাহতি নেওয়ায় এখন পার্লামেন্টের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন তার সহকারী লেবার দলীয় এম পি আনা বার্ক। পিটার স্লিপার বিরোধী লিবারেল পার্টি থেকে পদত্যাগ করে নভেম্বর ২০১১ তে পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হন।

বর্তমানে স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি তার সমর্থন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের সরকার টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে। যদি তিনি শেষ পর্যন্ত তার আসন থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তবে বর্তমান সরকারকে অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক