টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে নিহতের ধকল শেষ না হতেই নতুন আতঙ্ক জেঁকে বসেছে। কারণ বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাহাড় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে ফের পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেই সেনা কর্মকর্তাসহ মারা গেছেন ১০৯ জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ক্রমেই বাড়ছে। এতে রাঙামাটিসহ পাহাড়বাসীর মনে বাড়ছে আতঙ্ক। লোকজন ফের পাহাড় ধসের আতঙ্কে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুঁটছেন। প্রশাসন পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।
রাঙামাটিতে বৃষ্টি বাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা শুরু করে। স্থানীয় লোকজনকে আশ্রয় দিতে ১২টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শুক্রবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অনেকে নিজ উদ্যোগে কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে শহরের ভেদভেদী এলাকায় ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে তিনজন নিখোঁজ থাকার খবর আছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণ উদ্ধারকাজে বিঘ্ন হচ্ছে।
রাঙামাটি সরকারি কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্টের রাঙামাটি জেলা যুব উপপ্রধান মো. সাইফুল উদ্দিন জানান, রাতে মাইকিং শুরু করেছি। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা হচ্ছে। ভেদভেদী ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবি মোহন চাকমা বলেন, বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হলে মঙ্গলবার ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে রাঙামাটি শহরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে। একই সময়ে অন্য পাহাড়ি জেলা বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারেও পাহাড় ধসে পড়ে।