র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আসন্ন ঈদে খুবই স্বল্প সময়ে মানুষ ঢাকা ত্যাগ করবে। ফলে প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়া রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। আর এজন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাব সুসংগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঈদের সময় রাজধানীর ১৫ থেকে ২০ লাখ বাড়ি খালি হবে। বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকবে। ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
বর্তমানে মানুষের মধ্যে আরো সচেতনতা বেড়েছে উল্লেখ করে র্যাব প্রধান বলেন, র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংগত করতে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। বিশেষ দিবস নয় বরং ৩৬৫ দিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতি দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চিন্তা করি, প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাহিনীর হাতে জঙ্গি গোষ্ঠী কেউ না কেউ ধরা পড়ছে। তবে এখানে আত্মতুষ্টির কিছু নাই।
ক্রমাগত অভিযানে জঙ্গিগোষ্ঠীর অপারেশনাল শাখা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদেরকে নিশ্চিন্ন করে প্রতিটি দিন নিরাপদ করতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
ঈদ যাত্রায় রেলের প্লাটফর্ম কেন্দ্রিক সমস্যাগুলো গত ৫-৬ বছরে কমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন চোরাকারবারী, পকেটমার, অজ্ঞানপার্টির দৌরাত্ত্ব নেই। অগ্রীম টিকিট বিক্রি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে নগরীর বিপণীবিতাগুলোর নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটে র্যাবের ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। নগরীজুড়ে পেট্রল টিম, মোটরসাইকেল পেট্রল, সাদা পোশাকে পেট্রল টিম বাড়ানো হয়েছে।