স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনায় ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেখানে ৪৮৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাহাড় ধসের ওই এলাকার হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় সব কিছু প্রস্তুত রাখা আছে। প্রত্যেক আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার পাহাড় ধসের পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ’ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ‘স্বাস্থ্য সেবা’ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক খবর রাখছি ওখানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় যাতে কোন ত্রুটি না হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সেখানে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। তাদের কোন ছুটি নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতেরর এডিজি এনায়েত আজই চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। তারা সেখানে থাকবেন, সেখানে থাকা কর্মকর্তাদের যে কোন সাহায্য তারা করবেন। সেখানে একটি কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে, এটা ঢাকা থেকে মনিটর করা হচ্ছে।
পাহাড়ী এলাকায় দু’তিন দিন ধরে মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কিন্তু মানুষ যেতে চায় না। অনেকে আছে শ্রমজীবী ও নিরীহ মানুষ, তারা বাড়িঘর ছেড়ে যেতে চায় না। ওখানে থাকা লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের প্রশাসনের তৎপরতা ছিল।
চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) এ এম মজিবুল হক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে জানান, চট্টগ্রামে ২৮৪, বান্দরবানে ৪১, রাঙ্গামাটিতে ৬০, কক্সবাজারে ৮৮ ও খাগড়াছড়িতে ১০টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। চার জেলায় পাহাড় ধসে ১২০ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ১১৩ জন, নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন।