গ্রেনফেল টাওয়ার ধসের শঙ্কা, আগুনে নিহত ৬

গ্রেনফেল টাওয়ার ধসের শঙ্কা, আগুনে নিহত ৬

লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লাটিমের রোডে ২৪ তলাবিশিষ্ট গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভবন থেকে অর্ধ-শতাধিক মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে ভবনে আটকে পড়েছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১টার দিকে গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হলেও এখনো পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। যেকোনো মুহূর্তে আটকে পড়া মানুষসহ ভবনটি ধসে পড়তে পারে। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টে ঘুমিয়েছিলেন। তবে নিহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

london

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভবনের ভেতরে মানুষজন সাহায্য পাওয়ার অাশায় আর্তনাদ করছিলেন। এছাড়া চিৎকার করে তাদের সন্তানদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য বলছিলেন। দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ভবনটি এখনো জ্বলছে। চারদিকে ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে।

ভবনের ভেতরে ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়া অনেকেই তাদের সন্তানদের নিয়ে বের হওয়ার জন্য মোবাইল ফোন কিংবা টর্চের আলো জ্বালানোর চেষ্টা করছিলেন। মেট্রাপলিটন পুলিশ একটি জরুরি নাম্বার চালু করেছে। যেখানে ফোন করে ভবনে আটকা পড়া বন্ধু বা আত্মীয় পরিজনদের সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দেয়া যাবে।

গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের কমিশনার ড্যানি কটন। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভবনটির চতুর্থ তলার বাসিন্দা পল মুনাকার এ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন। দমকল বাহিনীর কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার মতো অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে বলে জানান তিনি। পল বলেন, আগুন লাগলেও ভবনের ভেতরে অ্যালার্ম বেজে ওঠেনি। বাইরে থেকে মানুষজন যখন লাফ দিও না, লাফ দিও না বলে চিৎকার করেন; তার পর ভবনের ভেতরের বাসিন্দারা আগুন লাগার বিষয়টি টের পান।

london

প্রত্যক্ষদর্শী জডি মার্টিন বলেন, আমি একজনকে নিচে পড়ে যেতে দেখেছি। আরেকজন নারীকে তার বাচ্চা নিয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে দেখেছি। ধোঁয়ার কারণে তাদের কেউ বের হয়ে আসতে পারছিলেন না।

এর আগে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ডেন ডেলি বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। জটিল এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। অনেক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে কয়েক ঘণ্টা ধরে ৪০টি দমকলের গাড়ি নিয়ে দুইশ দমকলকর্মী কাজ করছেন। ১৯৭০ সালে নির্মিত আবাসিক এই ভবন নটিংহিলের কাছে অবস্থিত। ভবনে ১২০টি আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে।

আন্তর্জাতিক