আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন- আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে। একই কথা তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেও বলেছিলেন। কিন্তু আল্লাহর কী লীলাখেলা, নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও তেমন হয় কি না তাই এখন দেখার বিষয়।
সোমবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি নেত্রী বিএনপিকে এক কঠিন সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন- বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই, সারা পৃথিবীতে যেভাবে সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় থাকবে কিন্তু নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি এমনিতেই আইসিইউতে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অপমৃত্যু ঘটবে। আমরা চাই না খালেদা জিয়ার হাতে বিএনপির মৃত্যু ঘটুক। বিএনপির নেতাকর্মীরা চান নির্বাচনে যেতে। কিন্তু খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে না যান তাহলে তিনি হয়তো আর বিএনপির চেয়ারপারসনই থাকতে পারবেন না।
‘আওয়ামী লীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে’ খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের কাছেও তালিকা আছে কারা পেট্রলবোমার রাজনীতি করেছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব শুধু পেট্রলবোমা হামলাকারী নয়, কারা এর পেছনে অর্থ দিয়েছে, কারা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ পোড়াতে মদদ দিয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার, স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।