শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক স্কুল নেই, সেখানে একটি করে স্কুল জাতীয়করণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি করে কলেজ সরকারিকরণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলছে।
সোমবার সংসদে আয়েশা ফেরদাউসের ও খুলনার সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ২৮৫টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী শিগগিরই পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে।
সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের যোগ্য বিবেচিত ২৬ হাজার ১৯৩টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৬ হাজার ১২২টি বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ হয়েছে। মামলা, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাকি ৭১টির কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এমপি ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘শিক্ষা আইন’ এর খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খসড়াটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের শিক্ষাঙ্গনে পাঠদানের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য থাকার সুযোগ নেই।
এরপরও অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা অর্জনের কৌশল হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়প) আওতায় সারা দেশে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ লাখ ৭০ হাজার ২৫২টি অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া হয়েছে।
এ কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন সময়ে মোট আট হাজার ৯১৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির আওতায় চার হাজার ৮০০ জন অতিরিক্ত শিক্ষক আছেন বলে জানানো হয় সংসদে।