বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ। শিশু অধিকার সুরক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০২ সাল থেকে ১২ জুন দিবসটি পালন করে আসছে।
বাংলাদেশসহ সোমবার বিশ্বের ৮০টি দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
আইএলওর সর্বশেষ এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাবিশ্বের প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু নানাভাবে শ্রমে জড়িত। এদের অর্ধেক প্রায় সাড়ে ৮ কোটি শিশু বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত।
জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ শিশু কোনো ধরনের শ্রমে নিয়োজিত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে দেখা গেছে, শিশু শ্রমিকদের অন্তত ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশুই বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
শিশুশ্রম নিরসনে বাংলাদেশ সরকার ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নির্ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে তা বন্ধের অঙ্গীকার করেছে। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমজীবী শিশুদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা থেকে সাধারণ শ্রমে নিযুক্তের উদ্যোগ নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, শিশুশ্রম প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনো শিশু যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় এবং কোনোভাবে শিশুশ্রমে যুক্ত না হয়ে পড়ে সে লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুশ্রম নিরসনে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করেছে। যেকোনো সংঘাত, সংকট ও দুর্যোগে শিশুদের নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আমরা গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ প্রণয়ন করেছি।