চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) আট পুলিশের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
রোববার ঢাকার হাকিম আদালতে এসব মামলা করা হয়। আদালত মামলাগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাড্ডা থানার ওসিসহ আটজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নুরুন নাহার নাছিমা বেগম নামে এক নারী।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন তিনি। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার এএসআই শাহীন, দ্বীন ইসলাম, এএসআই আব্দুর রহিম, জাহানারা রশিদ, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান ও শুকুর আলী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৬ মে বাদীর ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যান আসামিরা। বাদী চাবি ফেরত চাইলে এএসআইর মাধ্যমে আসামিরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ভাটার থানার ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা
ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল মোত্তাকিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন মমতাজ উদ্দিন খান। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন ভাটারা থানার এসআই বাবুল হোসেন ও এএসআই মারুফ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর বাসায় যান। বাসায় জোর করে ঢুকে আলমারির ভেতর থেকে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
নারায়ণগঞ্জের ডিবির এএসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
চাঁদা দাবি করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ডিবির এএসআই মনিরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ রাজধানীর কদমতলী থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে জসিম উদ্দিন মৃধা নামে এক ব্যবসায়ী মনির বিরুদ্ধে একটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৪ মে ব্যবসায়ী জসিম কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে মনির গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার গতিরোধ করে ও মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যান।
জসিম মোটরসাইকেল ফেরত চাইলে তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন মনির। টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় জসিমকে।