স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব সংস্থাকে এর রহস্য উদ্ঘাটনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিএনপি এ সরকারকে বিব্রত করার জন্য তদন্তের সময় না দিয়েই দেশে সন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করেছে।’
শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মাদক দ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকী কোনো জঙ্গি সংগঠন বা রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এ ধরনের কাজ করেছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়ে টুকু বলেন, ‘উচ্চ আদালত যে বাহিনীকে যোগ্য মনে করেছেন, তার ওপরই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে সব ধরনের তদন্তের জন্যই সময় দরকার।’
বিএনপির হরতাল প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে, তবে কোনো বাধা নেই। কিন্তু যদি তারা হরতালের নামে সন্ত্রাস, গাড়ি ভাঙচুর বা জানমালের ক্ষতি করে, সেক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবে।’
মাদক ইস্যু প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে টুকু বলেন, ‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমোদ বিহারে নিয়ে গিয়ে মাদক দ্রব্য ও অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে বিএনপি। মাদক দ্রব্য ধ্বংসের আগে এর ব্যবসায়ীদের মূল উৎপাদন করতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনমত তৈরি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম, র্যাব ১২-এর পরিচালক লে. কর্নেল এটিএম আনিসুজ্জামান, বীরপ্রতীক, জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুস সালেক, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে.এম.হোসেন আলী হাসান, সহসভাপতি বিমল কুমার দাস, চেম্বার প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক জান্নাত-আরা-তালুকদার হেনরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানে ৩৩ হাজার ৮শ ১২ বোতল ফেনসিডিল ধ্বংস করা হয়।