ধর্ম অবমাননাকর বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু এক শিয়া মুসলিমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত এই প্রথম কোনো পাকিস্তানির বিরুদ্ধে দেশটির আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
অতীতে সাইবার অপরাধে অভিযুক্তদের মধ্যে এটি সবচেয়ে কঠোর সাজা। অতীতে ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কখনোই কার্যকর করেনি পাকিস্তান।
দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর জেলার সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক শাবির আহমেদ ৩০ বছর বয়সী অভিযুক্ত তৈমুর রাজার বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা করেছেন। এর আগে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর বিষয় পোস্ট করার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
পাঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের তথ্য বলছে, লাহোর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের ওকারা থেকে গত বছর রাজাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজার এক সহকর্মী তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
৯৭ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাকিস্তানে ব্লাসফেমি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি ইস্যু। দেশটিতে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। দেশটির ব্লাসফেমি আইনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন পাকিস্তান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে এই আইনের ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।