বাংলাদেশের কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো সুইডেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লফভ্যানের আমন্ত্রণে আগামী ১৫-১৬ জুন (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) দ্বিপাক্ষিক সফরে সুইডেন যাবেন তিনি।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরররাষ্ট্র এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও গভীর ও প্রসারিত হবে।
জানা গেছে, সুইডেনে এ সফর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা আগামী ১৩ জুন (মঙ্গলবার) ঢাকা ত্যাগ করবেন। এ ছাড়া সুইডেনে যাওয়ার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করবেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে আগামী ১৬ জুন দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মাহমুদ আলী বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক ও একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। সুইডেনের রাজার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সুইডেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী, ভারপ্রাপ্ত স্পিকার এবং বিচার ও অভিবাসন বিষয়কমন্ত্রী সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সুইডিশ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তিনি বাংলাদেশ সুইডেন বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ৪৭ সদস্যদের উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী দল সুইডেন সফরে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বাংলাদেশ-সুইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে একটি যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হতে পারে। এ ছাড়া সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এবং নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের ফলে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগে অধিকতর গতিশীলতা আনয়ন, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাস ও সহিংস উগ্রবাদ নিরোধসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় আরও গভীর ও প্রসারিত হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।