কিভাবে লিখলে সবাই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে জানি না, তবে শুধু ছেলেটার পরিবারের কথা চিন্তা করুন, সেই মা-বাবার কথা চিন্তা করুণ, যদি আপনার ছোট ভাইয়ের এমন অবস্থা হত, তাহলে বসে থাকতে পারতেন না। আপনার ছোট ভাই মনে করে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। কথাগুলো সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসী গ্রামের আব্দুর হান্নান জোয়ার্দ্দারের ছেলে আব্দুর রহমান জোয়ার্দ্দারের।
ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তার পক্ষে চিকিৎসা করানো খুবই কষ্টকর। দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিগণ যার যার সাধ্যমত টাকা সাহায্য করলে তার পঙ্গু হওয়া থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
জানা যায়, আব্দুর রহমানের ৬ বছর আগে ডান হাতে একটি টিউমার হয়। সে টিউমার ৩ বছর আগে ঢাকার মিডফোর্ট সলিমুল্লাহ মডিকেল কলেজে অপারেশন করে। কিন্তু টিউমারটি আবার নতুন করে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। পুনরায় প্রায় দেড় বছর আগে আবার ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক গণপরিক্ষা করে “সাইনোবিয়াল সার্কোমা” নামে এক “ক্যান্সার” ভাইরাস শনাক্ত করেন।
চিকিৎসকগণ জানান, এ ভাইরাসের কারণে তার ডান হাতটি কেটে ফেলতে হবে। তবে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে অপারেশন করানো হলে রহমানের হাতটা বাঁচানো যেতে পারে।
চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে ভারতের কলকাতায় নারায়ণ ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে অপারেশন করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এত টাকা তার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব না।
অসুস্থ আব্দুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে আমি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। যার যার অবস্থান থেকে যে যাই পারেন আমাকে সহযোগিতা করুন। আমাকে পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা করুণ। এক মাসের মধ্যে আমার ডান হাত অপারেশন করতে হবে। তা না হলে আমার হাতটা কেটে ফেলতে হবে। তাই হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ আমার চিকিৎসার জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন।