চার হাঁকিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত জয় নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে বাঘের মতো চিৎকার করতে থাকেন বাংলাদেশের গর্বিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পাশে তখন দাঁড়িয়ে তাসকিন ও রুবেলসহ সতীর্থরা; কিন্তু মাশরাফির গর্জন যেন থামতেই চাইছিল না।
বাংলাদেশে টেলিভিশনের পর্দার সামনে কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমী ও কার্ডিফের দর্শকরা তখন বলছিল, এমন গর্জন মাশরাফিকেই মানায়। ম্যাচের শুরুতে তামিম ইকবালসহ কয়েকজনের উইকেট হারানোর পরও মনোবল না ভেঙে লড়াই চালিয়ে যায় মাশরাফির নেতৃত্বাধীন টিম।
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে অবিস্মরণীয় জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটারের বেশি হলেও ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ অভিন্ন ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছিলো দুই দেশের সমর্থকদের মুখে।
সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরমেন্সে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডের স্কোরের সঙ্গে যতই ব্যবধান কমিয়ে আনছিল কোটি ক্রিকেট প্রেমীর চোখ তখন টেলিভিশনের পর্দায়।
চার হাকিয়ে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ওয়েলসের কার্ডিফ ও বাংলাদেশের মানুষ আনন্দে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এদিনের খেলায় বিশাল ছক্কা হাকিয়ে সেঞ্চুরি করেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহও কম যান না! তিনিও ছক্কার মতোই জোরে ব্যাট হাকান।
বল গিয়ে বাউন্ডারির কাছাকাছি পৌঁছে ড্রপ খেয়ে চার হয় সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ হেলমেট খুলে ‘সেজদা’ দেন। তার মুখ জুড়ে ছিল সম্ভাব্য বিজয়ের হাসি।