স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপিং ব্রেকারর্স অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ শিপিং ব্রেকারর্স অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট হেফাজাতুর রহমান এ দাবি জানান।
প্রধান বাজেট সমন্বয়ক আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় শনিবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িদের সঙ্গে এনবিআরএ’র প্রাক বাজেট আলোচনা হয় বেলা ১১টায়।
এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর সদস্য ফরিদউদ্দিন আহমেদ ও সৈয়দ আমিনুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
হেফাজাতুর রহমান আরো বলেন, ১১-১২ অর্থ বছরে বাজেটের পর হঠাৎ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আয়কর দাবি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য ভ্যাটও আমাদের পরিশোধ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তজাতিক বাজারে জাহাজের মূল্য বৃদ্ধি এবং দেশে ডলারের বিনিময়হার মাত্রারিক্ত বৃদ্ধির কারণে আমদানির খরচ আগের তুলনায় আট থেকে দশ গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন করে এ শিল্পে আরো পাঁচ শতাংশ অগ্রিম জাহাজ আয়কর সমন আরোপ করলে সময়ের ব্যাবধানে জাহাজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে প্রতিবছর এনবিআর আটশত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হবে।
বাংলাদেশ ওশান গোয়িং শিপিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুল হক জাহাজ বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত রেমিটেন্সের ওপর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহারে আহ্বান জানান।