উপসাগরীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, আরব আমিরাত, লিবিয়া এবং ইয়েমেন। কাতারের বহু নাগরিক হজ ও ওমরাহর জন্য সৌদিতে আছে। কিন্তু সৌদি এবং কাতারের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব হজের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে উল্লেখ করেছে সৌদি। খবর সৌদি গেজেটের।
সৌদি আরবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কাতারের নাগরিকদের হজ ও ওমরাহ পালনে কোনো রকম সমস্যা হবে না। বরং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতই তারা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন।
কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো নাগরিকদের ১৪ দিনের মধ্যে কাতার ছেড়ে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনে বসবাসরত কাতারিদেরও একই সময়ের মধ্যে এসব দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের ফলে কাতারের নাগরিকদের হজ ও ওমরাহ পালনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাতারের নাগরিকদের হজ এবং ওমরাহ পালনে সকল সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সৌদি সরকার আন্তরিক এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে উপসাগরীয় অঞ্চলের তিনটি দেশ থেকে কাতারের নাগরিকদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সৌদি আরবের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি সে দেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের চলে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে, একই সময়ে কাতারের নাগরিকদেরও ফিরে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উভয় দেশের নাগরিকরা অন্য দেশ হয়ে যাতায়াত করতে পারেন। এজন্য অন্যান্য দেশ থেকেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ওয়াম এর মাধ্যমে একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নিরাপত্তা শঙ্কায় কাতার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের ১৪ দিনের মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে কাতারের নাগরিকদেরও ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের কাতারে ভ্রমণ, বসবাস এবং অন্যান্য কর্মকান্ডের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে আকাশসীমা ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের মধ্যে সব ধরনের যাতায়াত ও লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা বাহরাইন নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এক বিবৃতিতে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাহরাইন সরকার। তারাও ১৪ দিনের মধ্যে দেশের নাগরিকদের কাতার ছেড়ে আসতে এবং কাতারিদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।