প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে অন্যতম নেতৃস্থানীয় অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের চারদিনের মাথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে উদ্ধৃত করে বুধবার একথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ এবং নিরাপদ পৃথিবী গড়ার বৈশ্বিক যাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত নেতৃস্থানীয় অংশীদার হারানো দুঃখজনক।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১৬ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে সবচেয়ে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হয়েও বাংলাদেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট গুরুতর হুমকি মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে জোরদার করতে বিশ্বজুড়ে সব বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ঐকমত্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে ওই জলবায়ু চুক্তি হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগে নেওয়া হবে, যাতে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়। এ চুক্তির সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভিূমিকা পালন করে।
তবে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা। এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন ‘ভবিষ্যৎকে প্রত্যাখ্যান’ করলো বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।