আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরূল ইসলাম বলেছেন ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে সরকার কাজ করছে। ইলিয়াস আলী যেহেতু অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাকে সরকার কেন অপহরণ করবে তা বোধগম্য নয়। তিনি ফিরে আসুক এটা আমি চাই।
তবে এটা কি চট্টগ্রামের জামাল উদ্দীনের মতো ঘটনা কিনা এমন সন্দেহের কথাও তিনি বলেন।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের ঠাই নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আতঙ্কিত। হঠাৎ করে গুম অপহরণের রাজনীতি চালু হলো কেন। আরেকটা ১/১১ আনার কি চেষ্টা চলছে।
এসময় তিনি ইলিয়াস আলীর অপহরণের ঘটনা সিলেট বিএনপির নিজেদের কোন্দল কিনা এমন সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচরকাজ এগিয়ে চলছে। প্রয়োজনে আরও ট্রাইব্যুনাল হবে। আটক থাকা ৮জনের বিচার এ বছরেই শেষ করা হবে। বিচার যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রের ডালপালা ততই বিস্তার করা হচ্ছে। তবে এ বিচার হবেই।
বিএনপি জোটের সম্প্রসারণ নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ১৮ দলে বাটি চালান দিলেও ১৭জন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। ১৮ দলকে আমরা পাত্তাই দিচ্ছিনা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডের সদস্য কবি কাজী রোজী, স্বাধীন বাংলা বেতারের মানোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।