সৌদি আরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক জোটে অংশ নিলেও সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে না বাংলাদেশ। তবে কখনো সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরী আক্রান্ত হলে, তা রক্ষায় সৈন্য পাঠাবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
অ্যারাবিক ইসলামিক আমেরিকান হিস্টোরিকাল সামিটে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সৌদির রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ২০ মে দেশটি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীর প্রতি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভক্তি এবং ভালোবাসা রয়েছে। সে কথা মনে রেখে মক্কা ও মদিনার প্রতি যদি কখনো হুমকি আসে, সৌদি আরব যদি চায়, তাহলে তখন আমরা সেখানে সৈন্য পাঠাব।
‘যদি এরকম কিছু হয়, আমরা সামরিক সাহায্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকব’- বলেন তিনি।
এই জোট সম্পর্কিত এক প্রশ্নের তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ যেভাবে বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে, তা মোকাবেলা করাই হল প্রধান লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করাই উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে হানাহানি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলছে; এগুলোর শেষ হওয়া দরকার। জনগণ যাতে নিজেদের দেশে নিজেদের সামর্থ্য, চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী নিজেদের জীবন-যাপন এবং বিকাশ সাধন করতে পারে; সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করা দরকার। বিষয়টিতে সেভাবেই দেখছি।
এই জোটকে প্রিম্যাচিউর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি এখনো ক্রমবিকাশমান, এখনো লিখিত কিছু হয়নি। কাজেই এই ধরনের অ্যাসেসমেন্ট করার সময় এখনো আসেনি বলে আমি মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২১ মে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও অংশ নেবেন বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।