মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের সোনারগাঁও অংশ চালু

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের সোনারগাঁও অংশ চালু

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল মোড় থেকে এফডিসি রেলক্রসিং হয়ে সোনারগাঁও অংশে যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাতিরঝিল মোড় এফডিসি রেলক্রসিং হয়ে সোনারগাঁও পর্যন্ত ফ্লাইওভারের ৪৫০ মিটার অংশের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও ফ্লাইওভারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমসিসিসি-তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফ্লাইওভারের এ অংশে যান চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে রঙ-বেরঙের কাপড় দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

এর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভারটির তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে রমনা থানা সংলগ্ন হলি ফ্যামিলির রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল পর্যন্ত অংশের এবং ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইস্কাটন থেকে মগবাজার ওয়্যারলেস গেট পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন।

ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল মোড় থেকে এফডিসি রেলক্রসিং হয়ে সোনারগাঁও অংশ উদ্বোধনকালে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জুন মাসের মধ্যেই ফ্লাইওভারের অবশিষ্ট অংশের কাজ শেষ হবে। ফ্লাইওভার হলেই যে রাজধানীর যানজটমুক্ত হবে তা নয়। তবে যানজট অনেকটাই কমবে।

তিনি জানান, ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নগরীতে আর যানজট থাকবে না।

Flyover

মন্ত্রীর উদ্বোধনের পর  ফ্লাইওভারের এই অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ অংশ চালুর ফলে হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে যানবাহনগুলো কোনো ক্রসিং ছাড়াই মগবাজার রেলক্রসিং এবং এফডিসি রেলক্রসিং হয়ে সোনারগাঁও পয়েন্টে গিয়ে নামতে পারছে।

২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণ করছে ভারতের সিমপ্লেস্ক ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান `সিমপ্লেক্স নাভানা  জেভি` চীনা প্রতিষ্ঠান দ্যা নাম্বার ফর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

প্রকল্পের কাজ তত্ত্বাবধান করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২১৮ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটির মোট দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ