রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে অন্তত ৩০টি গাছ উপড়ে পড়াসহ অর্ধশতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়েছে। সড়কের পাশের এসব গাছ উপড়ে পড়ায় ভোর বেলায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল ৮টার মধ্যে সড়কে ভেঙে পড়া গাছগুলো সরিয়ে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
জানা গেছে, সোমবার দিনগত গভীর রাতে রাজধানী ঢাকার ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রাজধানীতে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার এবং বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার। ঝড়ো হাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও রামনা পার্কসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এসব গাছ উপড়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও ঝড়ে রাজধানীর গুলিস্তান পার্ক, ধানমন্ডি, মতিঝিল, হেয়ার রোড, ঢাকা কলেজ, ধামন্ডি ৭/এ, উত্তরা, বারিধারা এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে। ফলে সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে ভোরে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে নিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান বর্জ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ে দক্ষিণ সিটি এলাকায় ২৫-৩০টি গাছ ভেঙে পড়েছে। আমরা ভোর হওয়ার আগেই সব গাছ অপসারণ করেছি।
এ কাজে ফায়ার সার্ভিস সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, গুলিস্তান, গুলিস্তান পার্ক, ধানমন্ডি, মতিঝিল, হেয়ার রোড, ঢাকা কলেজ, ধানমন্ডি ৭/এ এলাকায় বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকাতেও বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে একটি পুলিশ বক্স ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা, বারিধারা এলাকায় বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে।
সোমবার দিনগত রাত আনুমানিক সোয়া ১১টা থেকে রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।