প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে গিয়ে বাজিমাত করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নবম আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই। কাটার-স্লোয়ার-ইয়র্কারের সংমিশ্রণে দুর্দান্ত বোলিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন।
সেবার ১৬ ম্যাচে ২৪.৭৬ গড়ে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। আর তাতেই প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ। আইপিএলের নবম আসরে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও ওঠে ফিজের হাতে। এবার অবশ্য ভালো করতে পারেননি। একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ২.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এদিকে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানের ঘুম হারাম করে দিচ্ছেন রশিদ খান। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আলো ছড়াচ্ছেন আফগান এই তরুণ। এখন পর্যন্ত সানরাইজার্সের হয়ে রশিদ খেলেছেন ১২ ম্যাচ। ঝুলিতে জমা করেছেন ১৪ উইকেট। হায়দরাবাদের বোলিং কোচ ও লঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন জানান, প্রত্যাশার চেয়েও নাকি ভালো করছেন রশিদ।
গত মৌসুমে সানরাইজার্সের হয়ে মোস্তাফিজ যেমন ঝলক দেখিয়েছিলেন, এবার সেটা করে যাচ্ছেন আফগান তরুণ রশিদ খান। মোস্তাফিজ-রশিদকে বিগ ব্যাশে চান হায়দরাবাদে খেলা অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ময়েজেস হেনরিকস।
রশিদকে নিয়ে সিডনি সিক্সার্সের অধিনায়ক হেনরিকস বলেন, ‘আমি এখনও নেটে তাকে (রশিদ) পাইনি! সে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে এবং স্পিন করতে পারে। এই ধরনের বোলার সিক্সার্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়িয়ে দেবে।’
মোস্তাফিজ-রশিদকে নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহের ঘাটতি দেখছেন না হেনরিকস। ব্যাখ্যায় অসি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘তারা (মোস্তাফিজ-রশিদ) উন্নয়নশীল ক্রিকেটীয় দেশ থেকে এসেছে। এই ভেবে বিগ ব্যাশের দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে সংকোচ করবে না বলে আমি মনে করি।’
হায়দরাবাদে মোস্তাফিজ-রশিদের সঙ্গে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মানছেন হেনরিকস। বলেন, ‘মোস্তাফিজ এবং রশিদ ভালো মানের ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে খেলতে পেরে আমি ভাগ্যবান। বিশ্বসেরাদের সঙ্গে খুব ভালোভাবেই তারা মানিয়ে নিতে পারে। আমি নিশ্চিত যে, বিগ ব্যাশে খেলার জন্য তারা যথেষ্ট যোগ্য।’