দেশের জনপ্রিয় নাট্যদল প্রাচ্যনাট। এর দর্শকপ্রিয় একটি প্রযোজনা ‘বন মানুষ’। এটি দলের ২৭তম প্রযোজনা। প্রায় এক বছরের বিরতি দিয়ে আবারও মঞ্চে আসছে নাটকটি। জানালেন নাটকটির নির্দেশক বাকার বকুল।
তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির
জাতীয় নাট্যশালাতে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। নাটকটিতে অভিনয় করবেন প্রাচ্যনাটের নিয়মিত শিল্পীরা।
ইউজিন ও নীলের রচনায় এর কোরিওগ্রাফি করেছেন পারভিন সুলতানা কলি। মঞ্চ ও আলোক নির্দেশনায় আছেন এ বি এস জেম।
নাট্যকার ইউজিন ও নীল জন্মগ্রহণ করেছিলেন পুঁজিবাদি রাষ্ট্রে এবং তার এই নাটকের মধ্য দিয়ে আঘাতও করেছিলেন পুঁজিবাদকে। নিউইয়র্ক থেকে যাত্রা করা একটি জাহাজকে কেন্দ্র করে এ নাটক। জাহাজের খোলের ভেতর দাঁড়িয়ে ইঞ্জিনের চুল্লিতে কয়লা ভরতে থাকা কয়েকজন মানুষের গল্প।
নির্দেশকের ভাষায় এ জাহাজটা যেন জাহাজ নয় একটি পৃথিবী। যে পৃথিবীতে শ্রেণি বৈষম্য বেড়েই চলেছে এবং এমন সিমাহীনতায় পৌঁছেছে যেখানে দিনমজুর মানুষগুলোকে উপরতলার মানুষেরা অসভ্য জানোয়ার বলে মনে করছে। প্রশ্ন আসে মহাকালের পথে ধাবমান পৃথিবী চলছে কোন শক্তিতে? কারা জাহাজের ইঞ্জিনটাকে সচল রাখছে চুল্লিতে কয়লা দিয়ে?
এই নাটকের মূল চরিত্র ইয়াংকের তীব্র বেদনা বোধ ও ক্ষোভের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর লাঞ্ছিত নিপীড়ত মানুষের আর্ত হাহাকার ও ক্ষোভ ফুসে উঠেছে। জাতিগত পর্যায় থেকে পরিবার কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায় পর্যন্ত পুঁজিবাদের চর্চাটা সিঁধ কেটে ঢুকে পরেছে চোরের মতো। যদিও সেই গোপন চর্চা বিশ্বায়নের নামে প্রকাশ্য দানবরূপে গ্রাস করছে পৃথিবীকে।
বিশ্বায়ন এক ধাপ্পাবাজি। সাম্রাাজ্যবাদীদের নয়া ঔপনিবেশিকতার এক সুক্ষ্ম কৌশল। ‘বন মানুষ’ নাটকের মধ্য দিয়ে বিশ্বায়নের অপকৌশলটাকে আমরা অনুধাবন করতে চাই রাষ্ট্রিয় পর্যায় থেকে ব্যাক্তিগত পর্যায় পর্যন্ত।