সেনানিবাস আইনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ল

সেনানিবাস আইনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ল

৪৩টি ধারায় জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ‘সেনানিবাস আইন- ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ১৪৬তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৯২৪ সালের ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্টের সংশোধনী এনে প্রায় শত বছরের পুরানো আইনটিতে সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ২৯২টি ধারা থাকলেও বর্তমান আইনে সংযোজন-বিয়োজন করে ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে। মোট ৪৩টি ধারায় জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

৯০ বছর আগে জরিমানার পরিমাণ যা নির্ধারণ হয়েছিল বর্তমানে তা বাড়ানো হয়েছে। যেমন- তথ্য প্রদানে অবহেলা এবং রায় প্রকাশে বাধ্যবাধকতা, এসব বিষয়ে আগে জরিমানা ছিল ১০০ টাকা। বর্তমানে তা দুই হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।

১৯২৪ সালের অ্যাক্টে সেনা এলাকায় দালান নির্মাণ এবং নির্মাণ কাজের সমাপ্তি সংক্রান্ত সময়সীমার ক্ষেত্রে কোনো জরিমানা ছিল না। এখন এক্ষেত্রে সময়সীমা তিনবারের অধিক পার করলে ২০ হাজার টাকা এবং পাঁচবারের অধিক সময় পার করলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি পৌরসভা আইনের আদলে করা হয়েছে। আইনটি পিয়র সিভিলাইজড।

এ ছাড়া সেনা এলাকায় জনগণের দৃষ্টির ভেতরে খোলা অবস্থায় কেউ মাংস বহন করলে তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।

বাংলাদেশ